নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশের ন্যায় হাটহাজারীতেও আওয়ামী লীগের মুখোমুখি অবস্থানে আওয়ামী লীগ। আগামী ১৫ জুন আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে তৃণমূলে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছে নিজ দলের নেতাকর্মীরাই।
বিজ্ঞাপন
তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের কাছেই হেরে যাচ্ছে নৌকা। তাহলেই কি ধলইয়ের পথেই হাঁটছেন ফরহাদাবাদ? আওয়ামী লীগের দূর্গের নৌকার পরাজয়! আমরা সবাই আওয়ামী লীগ কিন্তু নৌকার কর্মী না এমন আবাস মিলছে ফরহাদাবাদে।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে বিএনপি নির্বাচনে না আসায় যে ইউপিতে বিদ্রোহী নেই, সেখানে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরা। তাই সবাই আওয়ামী লীগ কিন্তু কেউ নৌকার না।
বিজ্ঞাপন
ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন, তাদের বহিষ্কার করতে হবে দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হলে। আবার চাইলেই কাউকে বহিষ্কার করা যাচ্ছে না কারণ দলের হাইকমান্ড, এমপি-মন্ত্রীদের তদবির, কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধের কারণে গণহারে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারছে না সংগঠন। এ নিয়ে ধীরগতি নীতি মেনে চলছে দলটি।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায়, বিদ্রোহীদের কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। তাদের কথা বিএনপি নির্বাচনে নেই তাই দলীয় প্রার্থী হলেও ছাড় দেয়া হবে না। ভোটে যা হয় হবে। আর এই কারণে উত্তেজনা এবং সহিংসতাও বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
কেন্দ্রীয় নেতাদের কথাও শুনছেন না কারণ এমপিরা তাদের নিজেদের লোকদের মনোনয়নের ব্যবস্থা করেছেন।
হত্যা ও মাদক মামলার আসামি, গাছ চোর, ভূমিদস্যুও চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তারা নির্বাচিত হলে সেখানে অপরাধের স্বর্গরাজ্য পরিণত হওয়ার আশঙ্কা এমন দাবি স্থানীয়দের।
বিজ্ঞাপন
কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের কথাও শুনছেন না বিদ্রোহী প্রার্থীরা। আবার অনেক ইউপিতে এমপি ও জেলা নেতাদের প্রশ্রয়ে বিদ্রোহী হয়েছেন অনেক পদধারী নেতারা এমন অভিযোগ অনেক নেতাদের।